এখন যে হতভাগ্য বিধবা ভদ্রমহিলার কথা বলছি তাঁর এক ছেলে মৃত, ছোট ছেলে অসুস্থ। দুই মেয়ের একজন স্বামী-পরিত্যক্তা, অন্য মেয়ের সহযোগিতায় কোনোমতে সংসার চলে। কিন্তু প্রতি সপ্তায় ২৫ হাজার টাকা কিস্তি দিতে পারেন না। আর তাই সেদিন তিনি আত্মহননের উপায় বেছে নিয়েছিলেন। পাড়া-প্রতিবেশীরা তাঁকে বাঁচিয়েছে।
আমরা ক্ষুদ্রঋণচক্রের বিরুদ্ধে কথা বলব। কিন্তু তার আগে দরকার এই ভদ্রমহিলাকে বাঁচানো।
স্বামী স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ছিলেন। ভাই আর ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হারিয়েছেন সব। মৃত্যুর সময় তাঁর ১০ লাখ টাকা ঋণ ছিল। ভদ্রমহিলা সেটা পরিশোধ করতে গিয়ে ক্ষুদ্রঋণের জালে জড়ান। ঋণ বেড়ে হয় ১৫ লাখ টাকা। ছোট মেয়ে পাশে দাঁড়ানোতে কিছুটা অবলম্বন পান তিনি। কিন্তু ছোট মেয়েরও সীমাবদ্ধতা আছে। বর্তমানে তাঁর ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ। প্রতি মঙ্গলবার পরিশোধ করতে হয় ২৫ হাজার টাকা করে। অথচ তাঁর হাত শূন্য। সামনের মঙ্গলবারের আতঙ্কে তিনি তাই আত্মহত্যা করতে বসেছিলেন।
আমি-আপনি তো অনেক ভালো আছি। এই আমরা মাত্র ২৫০ জন মিলে সপ্তাহে ১০০ টাকা করে দিলে এই সম্ভান্ত ভদ্রমহিলা বেঁচে যান, গ্লানিমুক্ত হন। আসুন না আমরা দৈনিক মাত্র এক কাপ চায়ের টাকাটা উনার জন্য পাঠিয়ে দিই।
সম্ভ্রান্ত, শিক্ষিত মহিলা তিনি। হাত পাততে চান না। চান না নাম প্রকাশ করতেও। তবু আমরা তাঁর প্রতিবেশীরা হাত পাতছি। আমরা নিশ্চয়ই পারব সপ্তায় ২৫ হাজার করে মোট ৬ লাখ টাকা জোগাড় করে দিতে।
আমাদের চ্যালেঞ্জ প্রতি মঙ্গলবারের আগে ২৫ হাজার টাকা পাঠানো৷ ২৫০ গুন ১০০৷ নিশ্চয়ই সম্ভব৷
যোগাযোগ ও সাহায্য পাঠানোর নম্বর: ০১৮৩৬০২৫৬৯৭ (বিকাশ)৷


