Sunday, 1 January 2017

মানবতা-মনুষত্ব্য আপনাদের দিয়েই চিনবে নতুন প্রজন্ম


চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়া শুরু করল!সবাই মসজিদ / মন্দিরে দান করে পূন্য অর্জন করতে চায়।কিন্তু এর থেকে পূন্য আর কিসে হতে পারে!সারাদিন ফেসবুকে  কত কিছুই না দেখি , এত কিছুর মাঝে ভাল জিনিসের দেখা মেলা সত্যি একটা ভাগ্য। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন ভালো জিনিসের দেখা মেললে মন সত্যি খুব বেশি ভালো হয়ে যায় ।এমন অসাধারণ কাজ যদি সবার সাথে সাথে আমিও করতে পারতাম তবে প্রশান্তি পেতাম ।আমরা যে যার অবস্থান থেকে কিছু করতে পারি আর না পারি, যাঁরা এমন কাজগুলো করছেন তাঁরা এগিয়ে যাক- এটাই প্রত্যাশামানুষ হলেও, মানুষের হয়ে বেঁচে থাকা চোট্টিখানি কথা না!!!আপনারা করে দেখাচ্ছেন, করে যান, হয়ত মানবতা-মনুষত্ব্য আপনাদের দিয়েই চিনবে নতুন প্রজন্ম!জয় হোক বিদ্যানন্দ, জুগ জুগ জিও
বিদ্যানন্দ, সাব্বাস বিদ্যানন্দ।

খাবার টেবিলে নতুন বৌ'র পাশে বসেছে এক পথশিশু, আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন, পানি ঢেলে দিচ্ছেন শিশুটিকে। "লাইক দিয়ে যান, শেয়ার করেন"; এজন্য করা হয় নি কাজটি। লোকদেখানো ট্যাগ না খাওয়ার জন্য নবদম্পতি কাউকে জানান নি পরিকল্পনা সম্পর্কে, আমাদেরও অনুরোধ করেছেন বিষয়টি গোপন রাখতে। তবে আমরা ব্যয়বহুল কাজটি করেছি শুধুমাত্র সমাজে শেখাতে, কিভাবে ভিন্নভাবে সামাজিক অনুষ্ঠান করা যায়।
এমন ২১ জন পথশিশু আজ নবদম্পতির সাথে খাবার টেবিল শেয়ার করেছেন, উপভোগ করেছেন অনুষ্ঠানের সেরা অতিথির মর্যাদা। কৃতজ্ঞতা নবদম্পতিকে, সামাজিক দায়বদ্ধতাকে আবারো সবার সামনে তুলে আনার জন্য, পাশে থাকার জন্য শিশুদের সাথে।
এই পর্যন্ত আসতে কম কষ্ট হয় নি আমাদের। ছেলে ধরার গুজবে মিরপুরের একটিও শিশুও আসে নি আমাদের সাথে। শেষে এয়ারপোর্টের বাচ্চাদের এনে গোসল করিয়েছি, সাজিয়েছি রাজপুত্র রাজকন্যা হিসেবে। গত সপ্তাহে কেনা হয় তাঁদের জন্য নতুন কাপড়, দেয়া হয় নতুন জুতা। প্রাইভেট গাড়ী ভাড়া করে নিয়ে যাই তাঁদের ইচ্ছা মেটাতে।
পাড়ার বিয়ের অনুষ্ঠানের কৌতুহল মেটাতে গিয়ে কতদিন লাঠির তাড়া খেয়েছে, ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে খালি হাতে ফিরেছে বিয়ের বাসী খাবার না পেয়ে। আজ তাঁরাই ছিলো বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রথম সাড়িতে, তাঁদের টেবিলেই আহার করেছেন নবদম্পতিরা, সবাই জেনেছে তাঁদের সম্পর্কে।
আশা করি আপনারাও একিভাবে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন, যদি সাহসে না কুলায় আমাদের জানাতে পারেন, আমরা সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো।(কপি রাইট)

বিদ্যানন্দ একটি শিক্ষা সহায়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (সরকারী রেজিস্ট্রেশন নাম্বার S-12258/2015)২০ জন কর্মকর্তা, কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা আটটি শাখা, নিজস্ব ক্যাম্পাসে নবনির্মিত অনাথাশ্রম আর পরিপূর্ণ স্কুলের স্বপ্ন দেখছে বিদ্যানন্দ। বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা নিজেই উঠে এসেছে সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণী থেকে, নিজের উদ্যোগে আর অর্থায়নে শুরু করলেও এখন এটি শত মানুষের আশির্বাদে চলছে।তারা সবাই সাধারন মানুষ, ছোট ছোট পায়ে এগিয়ে চলছে এখন, চেষ্টা করছে কিছু মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে। জানি এতে বিশ্বের কোন পরিবর্তন হবে না, তবুও চেষ্টাটা করতে চাচ্ছে। অনেক বিচিত্র কিছু কাজের ভিড়ে কয়েকটি বিশেষ প্রজেক্টের কথা নিমানরূপঃ
১/ ১,১০০ ছাত্রছাত্রীকে পড়ানো বিদ্যানন্দের  মূল কাজ, এছাড়া ৭০০০ বইয়ে উন্মুক্ত পাঠাগার সার্ভিস দেয়া

২/ প্রতিদিন সহস্রাধিক শিশুর মাঝে এক টাকা মুল্যে খাবার বিক্রি করা।
 

৩/ কাপড়, বই-খাতা বিতরণ করা। এই শীতে ১,৮০০ মানুষের মাঝে শীতের কাপড় বিতরণ ক
রে। শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে হাজার শিশুর মাঝে

৪/ বিনামূল্যে ২০,০০০ কপি অভিবাসন সহায়িকা বিতরণ করা হয় প্রবাসী শ্রমিকদের মাঝে।
 

৫/ ১০,০০০ সুবিধাবঞ্চিত শিশুর ছবি সংরক্ষণের জন্য ফ্রেমে বাঁধা শৈশবপ্রজেক্ট চালিয়ে
যাচ্ছে। 

৬/ নবীন কবি-লেখকদের লেখা নিয়ে
বিদ্যানন্দের ইতিমধ্যে ৭টি বই প্রকাশ করেছে 

অনলাইনের অনেক রিপোর্ট থেকে ধারণা পেতে পারেন
বিদ্যানন্দের  কাজের ব্যাপারে, তবে এই রিপোর্ট থেকে ভালো ধারণা পাবেন বিদ্যানন্দের সম্পর্ক -fb.com/Bidyanondo/videos/1176426149059207/
ঘুরে আসতে পারেনঃhttp://www.bidyanondo.org/

কিছু ছবিঃ











No comments:

Post a Comment