Saturday, 31 December 2016
আমার নতুন চশমা
আমার নতুন চশমা : সুবিধা অসুবিধা
দীর্ঘ দের বছর একই পাওয়ারের চশমা ব্যাবহার করিয়া কয়েকদিন আগে ডাক্তার মশায়ের সহিত পরামর্শ করিয়া একখানা নতুন চশমা বানাইলাম।এই জীবনে পাওয়ার আর কমিবার কোন পথ দেখিতেছিনা।ভাবতেছি আর ডাক্তারের কাছে না গিয়া এক কিংবা দের বছর পর পর চশমার পাওয়ার ২৫ করে বাড়াইয়া দিমু।চোখে চশমা পড়িয়া যাহা অনুভব করিলাম তাহা হইল- সব কিছুই ধক ধকা পরিষ্কার মনে হইতেছে।অনেক উজ্জল লাগিতেছে দুনিয়া-দারী। লেখা যথেষ্ট ব্যাবধান হইতেও পড়িতে পাড়িতেছি। ফেসবুকের সব পোষ্ট একাধারে পড়িতে আর অসুবিধা হয় না।আর সব কিছুর রং বরই উজ্জল লাগিতেছে। রাত্রিবেলা দেখিলাম সকল গাড়ির হেড লাইটের আলো কোনরুপ ছড়াইয়া ছিটাইয়া নাই। একটা নির্দিষ্ট স্থান ব্যাপিয়া আলো বিচ্ছুরিত হইতেছে। ইহা দেখিয়া নতুন করিয়া পৃথিবী অবলোকন করিতে শুরু করিলাম। সব কিছুই বড়ই সৌন্দর্য্য মনে হইতেছে।ইচ্ছা করিতেছে আরো অনেক দিন বাঁচিয়া থাকি।এতো সুন্দর পৃথিবীটা এতো দিন উপভোগ করিতে পারিনাই তাহা লইয়া মনটা একটু আক্ষেপে জড়াইয়া গিয়াছিল।ছেলে হিসাবে মেয়ে দেখিবার সুযোগ-সুবিধা তো আছেই।
এখন অসুবিধা : চশমাটা পড়িয়া যেইটা আবিষ্কার করিলাম তাহা হইলো; রাস্তা ঘাট সব একদিকে বাঁকা হইয়া গিয়াছে।আমার ল্যাপটপের এক পাশ কেমন যেন চ্যাপ্টা হইয়া গিয়াছে। সিঁড়ির তাক কেমন যেনো বহুগুণ উপরে উঠিয়া গেছে । আর ছোট্ট কোন গর্ত মনে হইতেছে বিশাল এবং এক দিকে বাঁকিয়া দাবিয়া গিয়াছে। সবচাইতে মজার ব্যাপার হইলো আয়তকার কোন বস্তু আমার মনে হইতেছে সামান্তরিকের ন্যায়।তবে এই অসুবিধাটা প্রথমেই হইয়া থাকে।এখন যে অসুবিধাটা হচ্ছে তা হলো চশমা খুলিয়া কিংবা ভুলিয়া কোথাও গেলে ঝাপসা দেখি।মেয়েকে বুড়ি-বুড়িকে মেয়ে ভাবিয়া অযথা সময় নষ্ট করি।
Labels:
অন্যান্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)


No comments:
Post a Comment